বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে পাট শিল্পের উন্নয়নে মত বিনিময় সভা
সম্প্রতি বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে পাট শিল্পের উন্নয়নে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বস্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ডঃ এম সাখাওয়াত হোসেন, আরো উপস্থিত ছিলেন বিজেএমএ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পরিচালকবৃন্দ, এসোসিয়েট ও কো এসোসিয়েট সদস্যগনএবং পাট শিল্পের সাথে জড়িত অন্যান্য এসোসিয়েশন থেকে আগত চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধিগন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যগন ।
বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি মো আবুল হোসেন পাট শিল্পের কিছু সমস্যা মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব ডঃ এম সাখাওয়াত হোসেন এর সম্মুখে উপস্থাপন করেন..১ পন্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামুলক ব্যবহার আইন ২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধকরন..২ পাটজাত পণ্যকে কৃষিজাত পণ্য হিসাবে ঘোষণা প্রদান.. ৩ কাচা পাটের উপর ২% উৎসে কর রহিতকরন (ভারতে নাই) । ৪ কাচাপাট ও পাটজাত পণ্যের মুল্য নির্ধারণ করা..৫ পাট মন্ত্রণালয়ের আওতায় গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক আলাদা শাখা স্থাপন ও এ খাতে অর্থায়নের মাধ্যমে গবেষনা কার্যক্রম পরিচালনা করা ও বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ.. ৬ খাদ্য অধিদপ্তর কতৃক ক্রয়কৃত পাটের ব্যাগ বিজেএমসির ন্যায় বিজেএমএ মাধ্যমে সরাসরি মিল মালিকদের নিকট থেকে যৌক্তিক মুল্যে ক্রয়(৮০ কোটি বস্তা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে) ।
বিজেএমএ চেয়ারম্যান আরো বলেন সরকারি গেজেট অনুযায়ী ২৮২টি বহুমুখী পাটজাত পণ্যের তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয় হতে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরন করা হয়েছে, এখন শুধু অনুমোদনের অপেক্ষা..এবং বেসরকারি পাটকলের ঋনের সুদ মওকুফ করনের সুবিধা দিতে হবে ।
উল্লেখ্য..দেশে উৎপাদিত গুনগত মানসম্মত পাটবীজ মোট চাহিদার প্রায় ১৫% পুরন করে আসছে। কিন্তু প্রায় ৮৫% বীজ প্রতিবছর আমরা ভারত থেকে আমদানি করি।ভারত মানসম্মত বীজ নিজেরা ব্যবহার করে এবং বাছাইকৃত মানহীন বীজ আমাদের দেশে রপ্তানি করে। যারফলে আমাদের পাটের গুনগতমান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ফলে মানহীন বীজে নিম্নমানের পাট উৎপাদন হচ্ছে ফলে প্রত্যক্ষভাবে কৃষক ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ সকল সমস্যা সমাধান করতে পারলে পটশিল্প থেকে বছরে ৮/১০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে বলে বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন মনে করে এবং পাট শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত পাচ কোটি পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
প্রধান অতিথি পাট শিল্পকে নিয়ে অনেক আশাবাদি। তিনি পর্যায়ক্রমে এই সেক্টরের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবেন বলে অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে আশ্বস্ত করেন। পাট শিল্পের উন্নয়নে যা যা করণীয় সবই তিনি করবেন বলে জানান।