ডিজেলের মূল্য হ্রাস করা প্রসঙ্গে:

সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল

বর্তমান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই ডিজেলের মূল্য কমানো এখন বিশেষ প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সমস্ত জিনিসের মূল্য বৃদ্বির মূলে হচ্ছে বিগত সরকারের এক লাফে ডিজেলের মূল্য ৩৫ টাকা বৃদ্বি করা। এর ফলে পন্য পরিবহন থেকে শুরু করে চাষাবাদসহ সকল ধরনের খামারের ব্যাবসার খরচ অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর দেশের ৫০% এলাকা বন্যা কবলিত হওয়াতে জেনেরেটর ছাড়া কোন উপায় নাই। ফলে সকল স্থানে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এতে করে প্রান্তিক চাষিরা আর ঠিকে থাকতে পারছে না। এমতাবস্থায় যখন বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম কমেছে তখন কেন আমরা এসুবিধা থেকে বঞ্চিত হব। আর একদল সাংবাদিক আছে কোন দালিলিক প্রমান ছাড়া ৪৫ বছর ধরে একই কথা শুনে আসছি, জ্বালানি তেল নাকি সব পাচার হয়ে যাচ্ছে, যদি ভারতে পাচার হয় তবে সেটা দেখার জন্য বিশাল বড়ার গার্ড রয়েছে তাদের কি আদৌ প্রয়োজন আছে? এবং সব থেকে বড় কথা আদৌ কি পাচার হচ্ছে? ভারতের অনেক জিনিসের মূল্য আমাদের বাজার মূল্য থেকে অর্ধেক তাহলে তাদের ওখান থেকে কোন পন্য আসে না কেন? তবে আসে শুধু ফেনসিডিল। আমাদের গরুচোরেরা কাঁটাতারের কাছে গেলেই পাখির মত বিএসএফ গুলি করে আর আমাদের বিজিবি কি করে?
আমাদের কিছু দালাল বা লবিস্টরা আছে তারা এই মিথ্যা সংবাদ দিয়ে ডিজেলের মুল্য কমানোর মত অবস্থা তৈরি হলেই এধরণের সংবাদ প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ায়। শুধু ডিজেলের মুল্য কমাতে পারলেই সকল জিনিষের মূল্য কমতে বাধ্য হবে একি সাথে তেল পাচারকারী দের মৃত্যু দন্ড দেওয়ার বিধান করে তেলের মূল্য কমানোর ঘোষণা দেওয়া হোক। ডিজেলের মূল্য কমলে এমনিতেই সব জিনিসের দাম কমে যাবে এটা আমি বিশ্বাস করি তাই বর্তমান অবস্থায় আমার মনে হয় ডিজেলের মূল্য কমিয়ে আনার বিশেষ প্রয়োজন। তাতে এদেশের সকল চাষি খামারিরা উপকৃত হবে।
ধন্যবাদ সকল কে।
সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল
সভাপতি
বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়শন