চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় নবান্ন অভিযান, উত্তপ্ত কলকাতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে আজ নবান্ন অভিযানে যোগ দিচ্ছে দেশটির জনতা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্থায়ী সচিবালয় নবান্ন ঘেরাও করতে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, অভিযোগ উঠেছে যে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের মুখোশের আড়ালে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী পক্ষ এবিভিপি এবং বিজেপি। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে দলগুলো। তবে পুলিশ কোনরকম ঝুঁকি নিচ্ছে না। দুর্গে পরিণত করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয়কে। নিরাপত্তার চক্রব্যূহ তৈরি করা হয়েছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

কলকাতার হাওড়ায় ভিড়ের মধ্যে থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। ইটের আঘাতে এক পুলিশ কর্মীর মাথা ফেটে যায়। পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের। ফাটানো হচ্ছে কাদানে গ্যাসের সেল। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছুড়ছে পুলিশ। পুলিশি বাধাতেও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে আন্দোলনকারীরা।

এই পরিস্থিতিতে নবান্নে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের দেখে হাতও নেড়েছেন তিনি। রীতিমতো দুর্গের চেহারা নিয়েছে নবান্ন। মোতায়েন আছে প্রায় ৬ হাজার পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স।

পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করে বলা হচ্ছে, যারা আজকে মিছিলে আসছেন, তাদের পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে বলছি, শান্তিপূর্ণ এবং আইনসিদ্ধ আন্দোলনে আমরা কোন হস্তক্ষেপ করব না। তার সঙ্গে এটাও অনুরোধ করছি, আইন মেনে মিছিল করুন। রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্ন তার সংলগ্ন এলাকায় ১৬৩ ধারা লাগু থাকে। সেই ধারা অনুযায়ী সেখানে পাঁচজনের বেশি মানুষ জমায়েত করা আইনত নিষিদ্ধ। এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।

কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়েছে মিছিল। ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে মিছিলে নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ছেন প্ল্যাকার্ড, লাঠি।